মাত্র ১৯০ গ্রাম পোলার বিয়ার বা মেরু ভাল্লুকের কলিজা খেলে আপনি মারা যাবেন। তো আপনার কি মনে হয় পোলার বিয়ারের কলিজায় বিষ আছে তাই মারা যাবেন? নাহ বিষের কারণে মারা যাবেন না। মারা যাবেন অতি মাত্রায় ভিটামিন-এ খাওয়ার কারণে। খুব অবাক লাগে শুনতে যে মানব দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন-এ খেয়ে কেউ মারা যেতে পারে। তাই না? পোলার বিয়ারের ১৯০ গ্রাম কলিজায় মানুষের শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় ৯০০ গুন বেশি ভিটামিন-এ থাকে। এই অতিমাত্রায় ভিটামিন-এ আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে অকেজো করে আপনাকে মেরে ফেলবে।
ঠিক একই ঘটনা ঘটবে যদি আপনি ৮০ কেজি গাজর এক সাথে খান। তবে ৮০ কেজি গাজর তো কেউ এক সাথে খেতে পারে না তাই পোলার বিয়ারের কলিজার উদাহরণ দিলাম। হাজার বছর ধরে উত্তর মেরুর মানুষের কাছে পোলার বিয়ারের কলিজা বিষাক্ত হিসেবেই পরিচিত ছিলো। তবে সম্প্রতি বিষয়টির সঠিক কারণ জানা যায়। আসলে ভিটামিন-এ যদিও মানব শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় কিন্তু অতিমাত্রায় খেলে তা বিষ। বিষয়টি শুধু পোলার বিয়ারের কলিজার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তা কিন্তু না। যে কোন কিছুই তা যতো ভালোই হোক তার অতিরিক্ত সেবন বা ব্যবহার বিষের মতোই। পার্থক্য, ভিটামিন-এ এর বেলায় প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর ৫০ টা শাড়ি কিংবা ৬০ টা পাঞ্জাবি কেউ কিনে বসে থাকলে তা বিষাক্ত কিনা তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
প্রমাণতো অনেক কিছুরই পাওয়া যায় না। এই যেমন সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিট হয় এমন রোগ যদি না থাকে তাহলে বহুগামিতার কোন ক্ষতিকর দিক পাওয়া যায় না। বরং বহুগামিতা এক ধরনের দক্ষতাও বলা যেতে পারে। তাই বলে কি বহুগামিতা খুব ভালো কিছু? আমরা কি বহুগামিতাকে উৎসাহিত করতে পারি? ঠিক একই ব্যাপার পণ্যের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমার এক বন্ধুর ২৪ জোড়া জুতা ছিলো। আরেক বান্ধবীর ছিলো ২৭ টা হাত ঘড়ি। এরা একদম সমাজের উঁচু শ্রেণির পরিবারগুলোর কেউ এমনও না। তবুও এদের ২৪ জোড়া জুতা বা ২৭ টা হাত ঘড়ি থাকতে হয়। কেন?
হাত ঘড়ি বা জুতা কোনটাই অপ্রয়োজনীয় না। কিন্তু তাই বলে ২৪ জোড়া জুতা? ২৭ টা হাত ঘড়ি? বাইরের মানুষের কথা বাদ দেই আমার মা’র আলমারিতে ৬২ টা বিছানার চাদর আছে। আমাদের ৪ বেড রুমের বাসায় ৬২ টা চাদরের কি প্রয়োজন আমার জানা নেই। আমাদের ৪ জনের সংসারে কেবিনেট ভর্তি ৬ সেট ডিনার সেটের কি প্রয়োজন আমার জানা নেই। আমি একবার ঠিক করেছিলাম এইসব জিনিস মানুষকে দিয়ে দিবো। তবে এই কথা মা’র সামনে বলতেই এই বুড়ো বয়সে ঝাঁটার বাড়ি খেতে যাচ্ছিলাম। তাই আর তা করা হয়নি। এই যে পণ্যের প্রতি আমাদের সীমাহীন আসক্তি এর জন্য কে দায়ী? পুঁজিবাদ নাকি পণ্যের প্রতি সহজাত ভালোবাসা সবার আছে?
পণ্য বা বস্তুগত সুবিধার প্রতি সীমাহীন আসক্তির একটা কারণ হতে পারে সামাজিক এক ধরনের প্রতিপত্তি লাভের মোহ। আপনার গ্যারেজের ব্যক্তিগত গাড়ি, দামি আসবাব, সুরম্য বাড়ি আপনার সামাজিক মর্যাদা নির্ধারণ করতে পারে এমন একটা বিষয় ঐতিহাসিক ভাবেই আছে। কিন্তু সত্যি বলতে কি পণ্য দিয়ে সামাজিক প্রতিপত্তি নির্ধারণের এই ধারাটি গরীব দেশে জন্ম দিয়েছে সীমাহীন দূর্নীতি আর ধনী দেশগুলোতে প্রচন্ড মানসিক অশান্তি। আর ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে ভালোবাসা আর সুন্দর মনন বিহীন একটা পৃথিবী।
সফলতার সংজ্ঞা যতক্ষণ বস্তুগত সুবিধা ততক্ষণ এই সফলতা সার্বজনীন হবে না কারণ পণ্য বা বস্তুগত সুবিধা সীমিত। পৃথিবীর সবাইকে তাদের মন মতো বস্তুগত সুবিধা দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব না। ছোট বেলা থেকেই বাড়ি, গাড়ি আর সম্পদের যে মোহ আমাদের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়া হয় তাতে ১০% মানুষ হয়তো বাড়ি, গাড়ি পেয়েছে কিন্তু ১০০% মানুষকেই দিয়েছে অশান্তি, হীনমন্যতা আর মানবিক গুনাবলীর প্রতি তীব্র অনীহা। কিন্তু সমাধান কি? আসলে সমাধান দেয়ার মতো কিছু আমার কাছে নেই।
অন্যান্য বিশেষ কিছু লেখা-
পৃথিবীর বড় বড় দার্শনিক আর সমাজচিন্তকেরা যা পারেনি আমার মতো অধম তা পারবে এমনটা আমি মনে করি না। তবে আমার একটা প্রস্তাবনা আছে। প্রস্তাবনাটা খুব মৌলিক, যৌক্তিক বা নির্ভুল এমনটাও আমি মনে করি না কিন্তু সবার সাথে শেয়ার করলে আলোচনার সুযোগ থাকবে বলে আমার মনে হয়। সেই প্রস্তাবনায় যাওয়ার আগে দুইটা গল্প বলি।
গ্রিক দর্শনের অন্যতম প্রভাবশালী একটি ধারা বিরাগী দর্শন। এই দর্শনের আদিগুরু গ্রিক দার্শনিক এন্টিস্থিনিস। ইনি সক্রেটিসের ছাত্র ছিলেন। সক্রেটিস একদিন এথেন্সের বাজারে দাড়িয়ে বলেছিলেন “বাজার ভর্তি হাজার রকম পণ্য। কিন্তু আফসোস এগুলোর একটিরও আমার প্রয়োজন নেই।” এই কথাতে প্রবল ভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন এন্টিস্থিনিস। তবে তার হাতে এই দর্শনের সূত্রপাত হলেও তিনি দর্শনের এই ধারাটি জনপ্রিয় করতে পারেনি।
এই দর্শনকে জনপ্রিয় করেছিলেন তার আরেক উত্তরসূরী ডায়োজেনিস। তার ভক্ত অনুরাগীর যেমন অভাব ছিলো না নিন্দুকেরও অভাব ছিলো না। বিরাগীদের ইংরেজিতে আমরা সিনিক(Cynic) বলি। কিন্তু প্রাচীন গ্রিক ভাষায় সিনিক মানে কুত্তা। নিন্দুকেরা তাকে “ডায়োজেনিস দ্যা সিনিক” নামে ডাকতো। তার ভক্তদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন গ্রিক বীর আলেক্সান্ডার। আলেক্সান্ডার আর ডায়োজেনিসকে নিয়ে রোদ পোহানোর গল্পটা কম বেশি সবাই জানে তাই আর বললাম না। তাকে নিয়ে অন্য দুইটা গল্প বলি।
ডায়োজেনিস বেশ লম্বা, চওড়া, সুদর্শন আর গৌর বর্ণের পুরুষ ছিলেন। থাকতেন নদীর পাড়ে উন্মুক্ত একটা জায়গায় পিপার ভেতর। অনেকটা ড্রেনের গোল চাকতির মতো ঘরে। তার একটা রুটি রাখার ব্যাগ আর পানি খাওয়ার মগ ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত সেলাই ছাড়া একটা কাপড় জড়িয়ে রাখতেন।
সারা দিন নদীর পাড়ে রোদ পোহাতেন, ব্যায়াম করতেন আর নদীতে সাতার কাটতেন। একদিন কয়েকজন দাস ব্যবসায়ী তাকে ধরে বন্দী করে বাজারে নিয়ে গেলেন। সুদর্শন, লম্বা-চওড়া আর ব্যায়াম করা শরীর দেখে যথারীতি দাস হিসেবে বাজারে তার দামও উঠলো অনেক। শেষ পর্যন্ত তাকে সর্বোচ্চ দাম দিয়ে কিনে নিলেন শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। কেনার পর নিজের ঘোড়ার গাড়িতে তুললেন ডায়োজেনিসকে।
গাড়িতে ঐ লোকের স্ত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে ডায়োজেনিস সেই ধনী লোককে বললেন “আপনি দয়া করে গাড়ি থেকে আমাকে নামিয়ে দিন। আমাকে ছেড়ে দিলে আপনার হয়তো কিছু পয়সা নষ্ট হবে কিন্তু আমাকে বাড়িতে নিলে আপনার সংসার নষ্ট হবে। আমাকে দেখে আমার প্রতি আপনার স্ত্রী মোহাচ্ছন্ন হয়ে গেছে।”
এই কথা শোনার পর সেই লোক তার স্ত্রীকে বললেন “তুমি অন্তর থেকে বলো এই লোক যা বলছে তা কি সত্যি? আমি তোমার উপর বিন্দু মাত্র রাগ করবো না শুধু এই লোকটাকে এখনি গাড়ি থেকে নামিয়ে দেব।”
স্ত্রী স্বামীর সামনেই নত মুখে স্বীকার করেছিলেন ডায়োজেনিস সত্যি বলছে। তা শুনে লোকটি বলেছিলেন “শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হওয়ার বদলে ডায়োজেনিস হওয়াই ভালো ছিলো।” এরপর তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মুক্ত করে দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় গল্পটা আরও মজার। ওনার আসবাব বলতে ছিলো একটি পানি খাওয়ার মগ আর আর একটি রুটি রাখার ব্যাগ। একদিন নদীর পাড়ে বসেছিলেন। দেখলেন একটি ছোট শিশু দু’হাত ভরে পানি খাচ্ছে। এটা দেখে বললেন “শেষ পর্যন্ত একটা দুধের শিশুও আমাকে শিক্ষা দিলো আমার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটি বস্তু এখনো আছে।” এই বলে তিনি তার পানি খাওয়ার মগটি ফেলে দিলেন।
এই দুইটি গল্প বলার উদ্দেশ্য সবাইকে বিরাগী দর্শনে উদ্বুদ্ধ করা না। যে কোন দর্শন বা আদর্শের অন্ধ অনুকরণ দিন শেষে ভালো কোন পরিণতি নিয়ে আসে না। তাছাড়া গণহারে ঘর সংসার ত্যাগ করা আর বৈরাগীদের মতো ভিক্ষাবৃত্তি কোন সমাধান হতে পারে না। কিন্তু এই দুইটা গল্প আমাদের ভিন্ন ধরনের দুইটা শিক্ষা দেয়। প্রথম গল্প শিক্ষা দেয় যে ধন সম্পদ ছাড়াও আপনি আকর্ষণীয় হতে পারেন। আর দ্বিতীয় গল্পটা শিক্ষা দেয় দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি থাকলে অপ্রয়োজনীয় পণ্য বর্জন করা যায়।
অর্থ সম্পদ অর্জনে ব্যক্তির পরিশ্রম আর মেধা মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তাই নিজের মেধা আর পরিশ্রমে সততা বজায় রেখে কেউ অর্থ উপার্জন আর সঞ্চয় করলে কারো কিছু বলার থাকতে পারে না। কিন্তু অর্থ আর পণ্য এক জিনিস না। আপনার প্রচুর অর্থ আছে মানেই আপনার ২ লাখ টাকার ঘড়ি, দেড় লাখ টাকার সানগ্লাস, ৫০ টা শার্ট, ৩০ টা প্যান্ট কিনতে হবে এমন না। আপনার উপার্জিত টাকায় অন্য কারো অধিকার না থাকতে পারে কিন্তু পৃথিবীর সম্পদে সবার অধিকার আছে।
আপনি অতিরিক্ত পণ্য কেনা বন্ধ রাখলে যার পণ্যটি প্রয়োজন সে কিছুটা সুবিধা পাবে। আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় হাসপাতালে যেতে না হলে যার এর চেয়ে বড় অসুখ আছে সে হাসপাতালে ফাঁকা সিট পাবে। আপনি একা দশটা ফ্ল্যাট না কিনলে যার একটাও নেই সে একটা ফ্ল্যাট তুলনামূলক কম দামে কিনতে পারবে। মানুষকে সাহায্য সবসময় টাকা দিয়েই করতে হবে ব্যাপারটা এমন না। আপনি অতিরিক্ত কাপড় কেনা থেকে বিরত থাকলে যার আসলেই কাপড় কেনা দরকার সে সুবিধা পাবে। আপনি নিজেকে ব্যায়াম করে ফিট রাখলে হাসপাতালে একজন রোগীর চাপ কম হবে।
পণ্য উৎপাদনে আরেকটা বড় সমস্যা আপনি যতো বেশি উৎপাদন করবেন পরিবেশের উপর অত্যাচার ততো বাড়বে। একটি সাধারণ শার্ট তুলা থেকে সুতা তারপর কাপড় হয়ে ডায়িং শেষে আপনার হাতে পৌঁছুতে ২,৭০০ লিটার মিঠা পানি খরচ হয়।! জ্বী ঠিকই পড়েছেন! এই ২,৭০০ লিটার পানি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ৩.৫ বছরের খাবার পানি, ১ বছরের গোসলের পানি, ২২ মণ ধান উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পানি, প্রায় ৩৯ মণ গম উৎপাদনের পানি। এর বাইরে কাপড়ের রং, বিদ্যুৎ, কারখানা বর্জ্য সব মিলিয়ে যে দূষণ আপনি যা দাম দিচ্ছেন তা কি আসলেই শোধ হয়? যত্সামান্য হয়তো শ্রমিক পায় বাকিটা যায় কারখানা মালিক আর পুঁজিপতিদের হাতে।
গাজীপুর সাফারি পার্কে যাওয়ার সময় মটর চালিত রিকশা নিয়েছিলাম। গ্রামের রাস্তা আর রাস্তার পাশে খাল। কিন্তু ওখানকার খালের পানি বাংলাদেশের আর দশটা গ্রামের খালের পানির মতো না। এটা পানি না আলকাতরা তাই বোঝা যায় না। এই পানি দিয়েই আবার ধান চাষ হয়। চলে যায় আপনার আমার ভাতের প্লেটে। রিকশাওয়ালা ভাই আক্ষেপের সুরেই বলেছিলেন যে, ওনারা যখন ছোট ছিলেন, ২০-২৫ বছর আগেও এইসব খালে মাছ ছিলো প্রচুর। এখন কিছুই নেই। কিন্তু ওনারা আগে যেমন গরীব ছিলেন এখনো তেমনই আছেন।
পার্থক্য আগে ধানের জমি ছিলো এখন আছে রিকশা। আমি বলছি না আপনি শার্ট কেনা ছেড়ে দেন। কিন্তু একটা অতিরিক্ত শার্ট না কেনা মানে ৩০ লিটার পানি বাঁচানো। এইটুকু সহযোগিতা আপনি মানুষকে করতে পারেন। আপনার টাকায় সবার অধিকার নেই কিন্তু ৩০ লিটার মিঠা পানিতে সবার অধিকার আছে। এটা একটা উদাহরণ মাত্র। বাজারে পাওয়া যায় এমন ৯৫% পণ্যই উৎপাদন হয় পরিবেশের কোন না কোন ক্ষতি দিয়ে।
প্রথমে যে মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন-এ এর গল্পটা বললাম তেমন করে যদি ভাবেন দেখবেন মাত্রাতিরিক্ত পণ্যও আপনাকে বিষিয়ে তুলছে। বিষিয়ে তুলছে আপনার মনন আর আত্মাকে। লেখাটা শেষ করতে চাই জালালুদ্দিন রুমির একটা বানী দিয়ে “তোমার প্রয়োজনের তুলনায় যা কম আছে তার নাম অভাব আর প্রয়োজনের তুলনায় যা বেশি আছে তার নাম বিষ।” প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ওজন, চর্বি বা আলস্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি ক্ষতিকর ক্ষমতা, দম্ভ আর পণ্য। তার বদলে আমরা চর্চা করতে পারি ভালোবাসা, মানবতা আর মুক্ত চিন্তার।
সবচেয়ে বড় কথা আমাদের হাতে আছে ইন্টারনেট। জ্ঞান চর্চা বা জ্ঞান অর্জন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক সহজ। তাই আসুন একটা শার্টের বদলে ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস পড়ি, একটা সানগ্লাসের বদলে মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে পড়াশোনা করা হোক নতুন ফ্যাশন।
লিপস্টিক বা নেইল পলিশের বদলে ডেভিড হিউম বা কার্ল মার্ক্স এর দর্শন নিয়ে পড়া হোক সৌন্দর্যের নতুন উপাদান, উচ্চ মূল্যের ডিনার সেটে খাবার খাওয়ার বদলে অ্যাডাম স্মিথের অর্থনৈতিক ভাবনা নিয়ে পড়াশোনা করা হোক নতুন আভিজাত্য।
বড় আশার কথা এই যে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস সবই বিনা মূল্যে পাওয়া যায়। পণ্যের চেয়ে জ্ঞান যখন উত্কৃষ্ট তখন জ্ঞান চর্চাই বুদ্ধিমানের কাজ।
একটি টি-শার্ট উৎপাদন করতে কী পরিমান পানি খরচ হয় এবং একই সাথে ক্যামিকেল ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতিসহ বাংলাদেশ-ভারতের গার্মেন্টস সেক্টরের বিষয় নিয়ে TED-ED এর ৬ মিনিটের এই চমৎকার ভিডিওটি দেখুন।