ফিদেল ক্যাস্ত্রো – The Untold Story
ফিদেল কাস্ত্রো, সময়ের বিরুদ্ধ স্রোতে চলা পুঁজিবাদী এক বিশ্বে আদর্শবাদী এক নেতা, সর্বদাই শুনিয়ে যান সাম্যের মন্ত্র, একের পর এক যুগান্তকারী নতুন নতুন কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়ে আশ্চর্য করে তুলছেন সারা বিশ্ববাসীকে কিন্তু তার ব্যক্তিজীবন আজো রহস্যে ঘেরা। ৪০টি বছর একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হবার পরও মানুষ জানে না তার পরিবার নিয়ে। অথচ বিরুদ্ধ রাষ্ট্র তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে অসংখ্যবার আর অপপ্রচার চলছে সারা বিশ্ব জুড়ে কিন্তু ধ্যানমগ্ন ঋষির মত একাকী চালিয়ে যাচ্ছেন তার বিপ্লব, বিশ্ব জুড়ে সাহায্য করে যাচ্ছেন দেশ ছাড়িয়ে মহাদেশে মহাদেশে মুক্তিকামীদের।
ফিদেল কাস্ত্রো আমাদের সময়ের মহানায়ক। তার নাক্ষত্রিক জীবন নিয়ে ৯০ মিনিটের তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন এস্তেয়া ব্রাভো- দ্য আনটোল্ড স্টোরি। সংগ্রহ করেছেন অজানা মুল্যবান সব তথ্য, অতি দুর্লভ ভিডিও ক্লিপ, প্রাতঃস্মরণীয় সব ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার।
প্রথমেই দেখা যায় নিউইয়র্কের হার্লেমে ভাষণরত ফিদেল, তার বক্তৃতা শোনার আশায় অপেক্ষমাণ লক্ষ জনতা, আবেগে উদ্বেলিত তাদের কালো মুখ। বিখ্যাত ভাষণের সাথে সাথে শুরু এই প্রামাণ্যচিত্রের। ফিদেল কাস্ত্রোর শৈশবের বাড়ী, তার বাবা-মার কবর( বাবা ছিলেন স্পেন থেকে আসা ভাগ্যাসন্ধানী, কিউবায় চিনির ব্যবসায় প্রচুর রোজগার করে স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছিলেন, মা ছিলেন কিউবার মেয়ে)।
এর পরে আসে কিউবার সামরিক একনায়ক বাতিস্তার অপশাসনের বিরুদ্ধে মোনকাদা ব্যারাকে আক্রমণ যার ফলশ্রুতিতে প্রহসনের বিচারে ১৫ বছরের জেল হয় তার। আদালতে দাড়িয়ে মাথা উঁচু করে বলেছিলেন – আমাকে তোমরা যে সাজাই প্রদান কর, History will Absolve Me।
এরপরেই আসে ১৯৫৬ সালে আর্জেন্টাইন তরুণ ডাক্তার চে আনেস্তো গুয়েভারার সাথে মেক্সিকো সিটিতে তার ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ যা রচিত করে অবিচ্ছেদ্য বন্ধুত্বের, অমর বিপ্লবের।
দৃশ্যপটে হাজির হন চে-র মেয়ে অ্যালাইদা গুয়েভারা, বাবার মতই ডাক্তার তিনি, বললেন ফিদেল কাস্ত্রো-কে নিয়ে তাদের কাছে চে-র স্মৃতিচারণ, প্রথম সাক্ষাতেই টানা দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার আলাপ গড়ে দিয়েছিল দুই তরুণের বিপ্লবের বুনিয়াদ।
কিউবায় সফল বিপ্লবের পরে ফিদেল কাস্ত্রো যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফরের সময় হার্লেমেই অবস্থান করেন, সেখানে তার সাথে দেখা করতে আসেন নেহেরু, ম্যালকম এক্স, নিকিতা ক্রুশ্চেভ, গামাল আব্দুল নাসের প্রমুখ বিশ্ব নেতা। সবাই এই তরুণ শ্মশ্রুমণ্ডিত বিপ্লবীর ক্যারিশমায় মুগ্ধ। সারা বিশ্বের প্রচার মাধ্যমের সামনেই ফিদেল ঘোষণা করেন- এখন থেকে জনগণের স্বার্থ রক্ষায় হবে তার সরকারের মূল উদ্দেশ্য, কিউবা আর কখনোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তাবেদার হবে না, তাদের প্রমোদকেন্দ্র হবে না, যা ছিল মার্কিন আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর স্বার্থের মহাপরিপন্থী।
ফিদেল কাস্ত্রোর জীবনীকার পিটার বুয়েরো জানালেন সেই সময়ই ফিদেলের মূল আদর্শ ছিল শিক্ষার বিস্তার, কারণ শিক্ষা ছাড়া সত্যিকারের স্বাধীনতা কোন সময়ই সম্ভব না। তার আহ্বানে তরুণ শিক্ষার্থীরা দূর-দুরান্তের গ্রামেগঞ্জে যেয়ে তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষা বিস্তারের দায়িত্ব নেন, বিশেষ করে চাষিদের মাঝে। ফলশ্রুতিতে আজ কিউবার শতভাগ জনগণ শিক্ষিত !
কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের অপতৎপরতা চলতেই থাকে এই সাম্যবাদের ধারণায় দীক্ষিত ক্ষুদে দ্বীপরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। নির্লজ্জ সশস্ত্র আক্রমণ চালায় তারা অসংখ্যবার, পুড়িয়ে দেয় একরের পর একর ইক্ষু ক্ষেত, স্যাবটাজ করে উড়িয়ে দেয় মালবাহী জাহাজ, মারা যায় শত শত নিষ্পাপ সাধারণ জনগণ, চলতে থাকে ভাইরাস পাঠিয়ে ইক্ষু ও গবাদি পশু সম্পদকে নির্মূল করার প্রচেষ্টা।
এমনিভাবে ১৯৬৭ সালের অক্টোবরে বলিভিয়ায় বিপ্লব পরিচালনার সময় সিআইএ এবং স্থানীয় সামরিক জান্তার হাতে মৃত্যুবরণ করেন চে গুয়েভারা। বন্ধুর প্রস্থানে শোকাহত ফিদেল বিপ্লব অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন শোষণকারী শক্তির বিরুদ্ধে। এর ৩০ বছর পরে বলিভিয়ার বধ্যভূমি থেকে চে-র দেহাবশেষ যখন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কিউবায় ফেরৎ আনা হয়, তখন এক একান্ত সাক্ষাৎকারে ফিদেল কাস্ত্রো জানান চে তার কাছে সবসময়ই জীবিত, তার আদর্শের সাথে সবসময়ই আছেন তিনি, তাই প্রিয় বন্ধুকে কখনোই মৃত কল্পনা করতে পারেন না।
ফিদেল সবসময়ই শোষণকারী শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিকামী বিপ্লবীদের সাহায্য জুগিয়েছেন সারা বিশ্বে, হো চি মিনের ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামে, স্যামোয়া মিশেলের মোজাম্বিকে, সালভাদর আলেন্দের চিলিতে, নেলসন ম্যাণ্ডেলার দক্ষিণ আফ্রিকায়।
কিংবদন্তীর ক্যালিপসো গায়ক হ্যারি বেলাফন্টে তার সাক্ষাৎকারে বলেন কিউবার সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া আফ্রিকার দেশগুলোর ইউরোপীয়ান উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করার ইতিহাস হত সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের, বিশেষ করে অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতাই হয়ত সম্ভবপর হত না।
আফ্রিকা মহাদেশে ফিদেলের সবচেয়ে বড় বন্ধুটির নাম নেলসন ম্যাণ্ডেলা, দক্ষিণ আফ্রিকায় সত্যিকারের স্বাধীনতার আগমন ও বর্ণবাদের অবসানের পিছনে কিউবার অপরিসীম অবদানের কারণে ম্যান্ডেলা সবসময়ই ফিদেলকে মাই প্রেসিডেন্ট বলে সম্বোধন করেন!
এবার পর্দায় ভেসে ওঠে বিশ্বনেতা ম্যান্ডেলার সাথে ফিদেলের সাক্ষাৎকারের বিরল মুহূর্ত আবেগঘন পরিবেশে আলিঙ্গনরত অবস্থায় ফিদেলকে বলেন ম্যান্ডেলা, মাই প্রেসিডেন্ট, কোন কথা বলার আগেই আমি জানতে চাই যে আপনার আরেক স্বদেশ ভূমি দক্ষিণ আফ্রিকায় আপনি কবে আসবেন? পরবর্তীতে ফিদেল দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করেন কবছর পরে আনন্দঘন পরিবেশে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক নোবেল বিজয়ী গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ দৃশ্যপটে হাজির হয়ে বলেন, আমার নতুন কোন উপন্যাস ছাপাখানায় পাঠানোর আগেই আমি ফিদেলকে পাঠাই পড়ে দেখার জন্য, সে যে একজন অসম্ভব মনোযোগী বিরল প্রজাতির পাঠক তাই নই, সে বিশ্বসেরা এডিটরদের একজন। সাহিত্য নিয়ে দিনের পর দিন আড্ডা দিয়েছি, অভিভূত হয়েছি তার সাহিত্য জ্ঞানে।
অন্যান্য বিশেষ কিছু লেখা-
সেই সাথে মার্কেজ উল্লেখ করেন ফিদেলের জাদুকরী সম্মোহনী ভাষণের কথা, তার মতে সামনাসামনি সেই ভাষণ শোনা এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা, একটি উচ্চস্তরের শিল্পের মত তাল-লয়-ছন্দ-সুর নিয়ে দর্শকের আগ্রহ চুম্বকের মত নিজের দিকে টেনে নেন ফিদেল বাচনভঙ্গী আর অপূর্ব ক্যারিশমা দিয়ে।
এরপর একে একে ভিডিও ক্লিপে ভেসে ওঠে ফিদেলের বন্ধু বলে পরিচিত সারা বিশ্বের কিছু পরিচিত মুখ- মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা, অভিনেতা জ্যাক লেমন, জ্যাক নিকলসন, স্পেনের রাজা হুয়ান কার্লোস, সি এন এন-এর মালিক টেড টার্নার, দার্শনিক নোয়াম চমস্কি, নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্বরা আর সেই সাথে ল্যাতিন আমেরিকার বর্তমান সময়ের রাষ্ট্রনায়করা। যাদের মধ্যে আছেন ব্রাজিলের লুলা দ্য সিলভা , ইভো মোরালেস, হুগো শ্যাভেজ প্রমুখ। সাহিত্যের আরেক দিকপাল আর্নেস্ট হেমিংওয়ে জীবনের অনেকগুলো বছর কাটিয়ে ছিল এই দ্বীপে, তিনিও ছিলে তরুণ ফিদেলের পরম গুণমুগ্ধ, ফিদেলের অফিসের আছে তাকে লেখা হেমিংওয়ের একটি বিশেষ চিঠি।
ফিদেলের সব বিষয়ে বিস্তারিত সাক্ষাৎকারের বিখ্যাত সংকলন মাই লাইফ গ্রন্থের ছায়া লেখক ইগনাসনিও রামোনেত বলেন আজ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্তত ছয়শবার ফিদেলের জীবনের উপর সরাসরি আক্রমণ চালানো হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত একটিবারও ফিদেল কাস্ত্রো কিংবা কিউবার পক্ষ থেকে বা তাদের অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের উপর কোন ধরনের হামলা চালানো হয় নি।
ফ্লোরিডার স্প্যানিশ রেডিও ষ্টেশনগুলোতে প্রতিদিন অজস্র প্রপাগান্ডা চালানো হয়, ফিদেলকে স্বৈরাচার, অত্যাচারী, নিষ্ঠুর হিসেবে চিহ্নিত করে অপপ্রচার চালাতে চালাতে ক্লান্ত তারা। কিন্তু তারা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ফিদেলের অবৈধ পথে উপার্জনের কোন চিহ্ন পায় নি, তার কোথাও কোন গোপন সম্পদ বা সুইস ব্যাংকে কোন অ্যাকাউণ্ট নেয়। সবচেয়ে বড় কথা গোটা দেশে তার নিজস্ব কোন ভাস্কর্য, ছবি বা স্থাপত্য নেই। তার সন্তানের নাম বা সংখ্যাও আমরা জানি না। লোকমুখে জানা যায় তার বিবাহিত জীবন ৩০ বছরের, সন্তান সম্ভবত ৮ জন এবং নাতি-নাতনীও ৮ জন, কিন্তু ব্যক্তিগত এই জিনিসগুলো সবসময়ই আড়ালে রাখেন ফিদেল কাস্ত্রো।
সেই সাথে সবাই বললেন তার কর্ম স্পৃহার কথা, অনেক সময় রাত ২ টা পর্যন্ত অফিসে থেকে আবার পরদিন সকাল ৭ টায় হাজির তিনি, বিস্মিত সহকর্মীদের প্রশ্ন – এই ৫ ঘণ্টা ঘুমোলেই চলবে? ততোধিক বিস্মিত ফিদেলের প্রত্যুত্তর- ঘুম! এই ৫ ঘণ্টা তো আমি সাতার কাটছিলাম, যাতে আজ সতেজ অবস্থায় কাজে আসতে পারি !
যুক্তরাষ্ট্রের কিউবা অফিসের সাবেক প্রধান ওয়েন স্মিথের মতে এই প্রথম ফিদেলের নেতৃত্বে কিউবা সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছে। তারা এখন স্পেনের কোন উপনিবেশ নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রমোদকেন্দ্র নয়, সোভিয়েত ইউনিয়নের মুখাপেক্ষী বন্ধুরাষ্ট্র নয়, আজ তারা স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। আর সেই সাথে আমেরিকার বোঝা উচিত এত দীর্ঘ সময় ধরে কেউ এভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারে না, ফিদেল পেরেছেন কারণ কিউবার জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন আছে তার দ্রোহের মন্ত্রের প্রতি।
ফিদেল ক্ষমতায় আসার পরে তার গৃহীত ব্যবস্থায় মাত্র কয়েক দশকে কিউবার অসাধারণ উন্নতি ঘটেছে নানা ক্ষেত্রে- শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবায় তারা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থান অর্জন করেছে, বিশেষ করে নানা দেশে ডাক্তার পাঠিয়ে সাহায্য করার ক্ষেত্রে কিউবার সুনাম বিশ্ব জুড়ে। প্রতিটি নাগরিকের পেট পুরে খাবার নিশ্চয়তা আছে, অপরাধের হার অত্যন্ত কম, পথশিশুদের অস্তিত্ব নেই, মাদক সমস্যা নেই, গৃহহীন থাকতে পারে না কেউ, লিঙ্গ বৈষম্য, বর্ণ বৈষম্যের স্থান নেই এই সমাজে।
পঞ্চাশের দশকের কিউবার দিকে তাকালে এই অর্জনগুলোকে অলীক স্বপ্ন বলেই মনে হয়। বিশেষ করে যখন তাদের উপার্জনের প্রধান দ্রব্য চিনিসহ অন্যান্য সম্পদ আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো দশকের পর দশক।
জাতিসংঘের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দীর্ঘদিন পরে আমেরিকা সফর করেন ফিদেল। সেখানে সবাইকে চমকে দিয়ে যান টাইম ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের অফিসে, যে পত্রিকাগুলো যুগের পর যুগ তার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কেবল ঋণাত্মক খবরই ছেপেছে।
সেখানে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি- আমার সাম্যবাদী নীতিতে আমি অটল, তথাকথিত প্রচলিত গণতন্ত্রের বদলে এই পন্থাতেই মানবতার মুক্তি। আমি জীবন দিতে রাজি আছি, কিন্তু আমার নীতি, আমার বৈপ্লবিক আদর্শ বিসর্জন দিব না। লেখক-বিশ্লেষক সিডনী পোলাক বললেন- ফিদেল জীবন্ত ইতিহাস, তিনি অনেক কিছু দেখেছেন, অনেক পরিবর্তনের সাক্ষী।
সবকথার শেষ কথা বলেছেন অস্কার জয়ী পরিচালক অলিভার স্টোন (তিনিও ফিদেলের উপরে এল কমান্দানতে নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন), তার মতে ফিদেল কাস্ত্রো বিশ্বের সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষদের একজন, আমাদের সবার উচিত তার কথা শোনা।
এমন ভাবেই এক মহামানবের মহাজাগতিক জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে এই বিরল প্রামাণ্যচিত্র, যাতে অন্তত কিছুটা ধারণা পাবেন অবলোকনকারীরা ফিদেলের সত্যিকারের পরিচয় নিয়ে।
ফিদেল কাস্ত্রোর রাজনৈতিক জীবনী, কিউবার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের আদ্যপান্ত নিয়ে পড়ুনঃ
ফিদেল ক্যাস্ট্রোঃ কিউবার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের উপাখ্যান